শিবু মণ্ডল
বিচার হবে কি ধর্মাবতার?
শিবু মণ্ডল
আমাদের মেয়েটার সাথে কী হয়েছে জানি
তাঁর বিচারের কী হবে জানি না
ঘণ্টা বাজছে দ্রোহকালের
সামনে দেবতা প্রসাদ নিয়ে বসে
এক হাতেরও কম দূরত্বে -
গণতন্ত্রের প্রহরী ও এক গণতন্ত্র-হত্যাকারী!
ঘণ্টা বাজছে বিপদ ও ভয়ের
ক্রমশ কাছে আসছে কি তারা পরস্পর?
বিচার হবে কি ধর্মাবতার?- কার কাছে যাবো আমরা-
আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে ভীষণ কালো স্রোতে!
হাথরাস থেকে আর জি কর
একাধিক ধর্ষকের মধ্য থেকে একজনের পরিচয় জানতে চাইতেই সে একটি বিশাল আকারের গর্তের দিকে আঙুল দেখাল। চারকোণা কবরের আকারে বিশাল একটি গর্ত। আমাদের সমাজেরই তৈরি করা। আমরা তার চারপাশে দাঁড়িয়ে আছি। চারটি কোণার জন্যই আমরা গর্তের চারদিক থেকে দাঁড়াতে পেরেছি।
গর্তটি একটি চরিত্র হয়ে গেছে। খুঁড়তে খুঁড়তে তার ভেতর থেকে স্বৈরাচারী খলনায়কের ছায়া বেরিয়ে আসে। গর্তটি তার বন্ধু হয়ে যায়। মাঝে মাঝে আমাদের কাঁধে দায়িত্ব আসে এই গর্তটির আয়তন বৃদ্ধি করবার জন্য। তখন আমরা কোদাল, শাবল নিয়ে নেমে পড়ি। প্রথমে তার চারটি কোণা থেকে শুরু করি। কোপাতে থাকি। এভাবেই গর্ত বাড়তে থাকে। যখনই কিছু পোড়ানোর প্রয়োজন হয়ে পড়ে আমরা সেটিকে সেই গর্তের ভিতরে ফেলে দিই; সে ধর্ষিতার লাশ হোক বা আইন। সেটির গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে দিই। এই পোড়ানোর কাজটি কিন্তু রাতের অন্ধকারেই করা হয় সবসময়। এই পুড়ে যাওয়া তাপ যারা সহ্য করতে পারে তারা কাছাকাছি থাকে, যারা পারেনা তারা গর্ত থেকে দূরে সরে যায়।
সবকিছু পুড়ে ছাই হয়। আমরা সেই ছাই ঠাণ্ডা হয়ে যাবার স্বপ্ন দেখি। সেই ছাইগন্ধ আমাদের শিয়রের চারপাশে ঘোরাফেরা করে। গন্ধপোকা হয়ে মাঝে মধ্যে আমাদের দংশন করে! আর আমরা ব্যথা অনুভব করি, আর ব্যথা অনুভব করি...

Post a Comment