শাশ্বতী গাঙ্গুলি
এখন
শাশ্বতী গাঙ্গুলি
আগুন জ্বলছে ভেতরে বাইরে
ছাই চেপে রাখি রোজ।
আগুনে পুড়ছি,তবুও চলছি
গড়ে তুলি প্রতিরোধ।
প্রতিবাদ করে আজকে তুমিও
নেমেছো আমার সাথে।
কিন্তু আমি কি সাম্য দেখেছি
কোনো যুগে কোনো রাতে?
ক্যাবারে নেচেছি পেটের দায়েতে,
ব্রথেলে পচেছি আমি।
টাকার অংকে বিক্রি হয়েছে
আমার এ দেহখানি।
কখনো দেখেছি সূর্যদেবের ঔরসভরা পেটে,
কুন্তীপুত্র কর্ণ তবুও বেজন্মা অবশেষে।
উর্বশী হয়ে ঋষির ধ্যানেতে শরীরের হিল্লোল
লাস্যনৃত্যে বেহুলা বাধ্য স্বামীকে বাঁচিয়ে তোল।
চিত্রাঙ্গদা ইচ্ছে তোমার
আমাকেই হোতে হয়,
পিছনে তাকাও সে পথে আমাকে
সতীদাহে যেতে হয়।
তাতেও তোমার শান্তি ছিল না
কৌলিন্যের ত্রাসে,
বালবিধবাকে মরতে হয়েছে একাদশী উপবাসে।
এরপর সেই পুরুষ এলেন,
শুরু হল প্রতিবাদ।
বাল্যবিবাহ রোধ হল শেষে
বিধবা বিবাহ পাস।
সতীদাহ রোধ পড়াশুনো শেখা
স্ত্রী শিক্ষা আলো এল।
কিছুটা বদল হলেও তবুও
নারী নারী থেকে গেল।
মহাভারতের আর্যপুত্র আমাকে সগৌরবে
বাজীতে হারালো, পণ্যদ্রব্য আখ্যা পেলাম তবে।
বস্ত্রহরণ লজ্জা আমার শুধু দৈহিক ছিল?
নির্লজ্জরা মানসিকভাবে ধর্ষণ করেছিল।
বিবস্ত্র আমি মাংসপিন্ড খবর হচ্ছে বাসি।
গোটা দেশে আর কতবার বলো জ্বালবে মোমের বাতি?
আজ মণিপুর,কালকে দিল্লি,পরশু সে দেরাদুন
সারা দেশ জুড়ে জ্বলছে আগুন মনুষ্যত্ব খুন।
নির্ভয়া থেকে মিটিং মিছিল অভয়াতে এসে মেশে
অসুরবিনাশী আগমনী আজ রুদ্ধ যে অবশেষে।

Post a Comment